লোকসানের খাতা খুলেই স্টার্টআপ বড় হতে শুরু করে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) পরিচালক এবং ড্রিম-সেভেন্টিওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশাদ কবির। তিনি বলেন, এই লোকসান পরে বড় মুনাফা হিসেবে ফেরত পাওয়া যায়।
সম্প্রতি স্টার্টআপগুলোর বর্তমান অবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমগুলোয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে নগদ।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে রাশাদ কবিরের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতি জনপ্রিয় হলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে খাতটি। লোকসানে শুরু করে দেশে অনেক কোম্পানি বিশ্বমানের হয়ে উঠছে। উদাহরণ হিসেবে বিকাশ ও নগদের নাম বলেন তিনি।
বিকাশ গত বছর পর্যন্ত লোকসান করেছে। নগদও লোকসান করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে দোষের কিছু নেই। যেসব কোম্পানি সরাসরি গ্রাহক নিয়ে কাজ করে, তাদের মুনাফায় পৌঁছাতে বেশি সময় লাগে। কারণ, তাদের গ্রাহক ভিত্তি তৈরি করতেই বড় বিনিয়োগ করতে হয়। রাশাদ বলেন, গ্রামীণফোন এত বড় কোম্পানি। তাদেরও লোকসান দিয়ে শুরু হয়েছিল। কারণ, তাদের অবকাঠামো খরচ ছিল বিশাল। এগুলো বিবেচনায় নিয়ে হিসাব করতে হবে।,
ইন্টারনেট ব্যবস্থা উন্নয়নের ফলে প্রযুক্তিগতভাবে অনেক দূর এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ফলে নগদ-বিকাশ ছাড়া আরও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে। তাদের প্রায় সবাই এখন লোকসানে। পাঠাও, ফুডপান্ডা, সহজ, উপায়—সবারই একই অবস্থা। তবে শক্ত গ্রাহক ভীত তৈরি করতে পারলে কোম্পানিগুলোর মুনাফায় আসতে খুব বেশিদিন লাগবে না।,
নগদের হেড অব পাবলিক কমিউনিকেশনস জাহিদুল ইসলাম সজল জানান, এখন লোকসানে থাকলেও আগামী এক বছরের মধ্যে মুনাফায় আসতে পারে তার প্রতিষ্ঠান। ২০২৭ সালের মধ্যে তাদের বার্ষিক মুনাফা ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।,
২০১০ সালে যাত্রা শুরু বিকাশের। প্রথম চার বছর লোকসান দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি ২০২১ সালেও তাদের ১২৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে ব্র্যাক ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংকের মতো কোম্পানিরও শুরু হয় লোকসান দিয়ে।,'