ঢাকা: ইদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন চাকরিজীবীরা। ইদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে বিরাজ করছে ইদের আমেজ। অধিকাংশ মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী, সচিবেরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে দিনের অর্ধেক কেটেছে ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় আর গল্প, আড্ডায়।,
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। সচিবালয় চত্বর, করিডোর এবং প্রত্যেকের রুমে রুমে চলছে শুভেচ্ছা বিনিময় আর কোলাকুলি। ইদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ছিল কম।,
এবার ইদের তিনদিন ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়েও ছুটির সংখ্যা কম থাকায় মঙ্গলবারই কাজে যোগ দিতে হয়েছে চাকরিজীবীদের। কিন্তু যারা ঐচ্ছিক ছুটি হিসেবে বুধ ও বৃহস্পতিবার পেয়েছেন তারা কাজে ফিরবেন আগামী রোববার (১৭ জুলাই)।,
প্রথম কর্মদিবসে অফিস করেছেন, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীসহ অনেকেই। অফিস করেছেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তাসহ অধিদফতরের প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী। তবে কর্মকর্তা কর্মচারীদের একটা বড় অংশ এখনো ছুটিতে। অন্যদিকে সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে।,
ছুটি শেষে অফিস করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।,
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের তো একটা প্ল্যান থাকবেই। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে আমাদের দেশের মাটি উর্বর। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন মানুষ আর মাটি থাকলেই আমরা দেশ গড়তে পারব। আমাদের দেশে তিনবার ফসল উৎপাদন হয়, সেই দেশে খাদ্যের অভাব হবে সেটা আমরা মনে করি না। কারণ কৃষকরা আমাদের প্রাণ, তারা যেভাবে উৎপাদন করছে আমরা আশা করি খাদ্যের সংকট হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা বেশি মানবতার কথা বলে তারা সারাবিশ্বকে মানবতার দিক দিয়ে কস্টে ফেলে রেখেছেন। তাদেরই একটি মানবিক হওয়া উচিত। শুধু বাংলাদেশের জন্য না, গোটা বিশ্বের জন্য তাদের মানবিক হওয়া উচিত। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সারা বিশ্বকে বিপদে ফেলে, সেখান থেকে তাদের সরে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করি। তাহলেই সারাবিশ্ব শান্তিতে থাকবে। আমরাও শান্তিতে থাকব।’
চালের দামের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চালের দাম স্থিতিশীল আছে। আমরা চালের দাম নিয়ে কাজ করছি, মনিটরিংও আছে। বেসরকারি আমদানিও খুলে দিয়েছি। আশা করি চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।’
মানুষ কি ভালোভাবে ঈদ করতে পেরেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইদের আনন্দটাই অন্যরকম আনন্দ। এটা একজন গরীব হলেও তারও কিন্তু উৎসবই। সেভাবে চিন্তা করলে সবার ঈদই ভালো হয়েছে। আমি যেটুকু খবর পেয়েছি বিশেষ করে যারা গ্রামাঞ্চলের লোক তাদের এলাকায় বেশি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে। কারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কষ্ট হয়েছে বিশেষ করে বন্যার্ত মানুষের, এ কষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের। এটাকে মেনে নিয়েই আমাদের ইদ উৎসব পালন করতে হয়। কারণ প্রকৃতির সাথে খেলা আমাদের সবসময়ই খেলতে হয়। এটাকে মেনে নিয়ে আমাদের ইদসহ সব উৎসব পালন করতে হয়।’
এদিকে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, ‘মোটরসাইকেলের কারণে দুর্ঘটনা বেশি হয়।’
সরকারের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন ছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারি আদেশ মানা হয়েছিলো আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আদেশ লঙ্ঘন করে হাইওয়েতে মোটরসাইকেল এসেছে। যে কারণে দুর্ঘটনা বেশি হয়।’
এবার ইদযাত্রায় সড়কে মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে ছুটি হওয়ায় একটা চাপ তো ছিলোই। কিন্তু সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে। তিনি এসময় সরকারের নানা উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।’`এছাড়াও অফিস করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।,
from Sarabangla https://ift.tt/njSvQX8